
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’
চালকের সহকারীও গ্রেফতার


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চালকের পর পালিয়ে যাওয়া সহকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেটের দক্ষিণসুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কেএম শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার লিটন মিয়া (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহকারী। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা। কেএম শহিদুল ইসলাম সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯-এর সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।” এর আগে রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে চলন্ত বাসের যাত্রী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী গত সোমবার সকালে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহার বলা হয়েছে, ওই ছাত্রী ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। গত রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে বাসে করে তিনি গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি শেরপুর এলাকায় নেমে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি লোকাল বাসে ওঠেন। বাসটি রাত ১০টার দিকে আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় বাসচালক সাব্বির ও তার সহকারী লিটন চলন্ত বাসে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এনাতাবাদ এলাকায় বাসটি থামান। পরে চালক সাব্বিরকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা । তবে এ সময় চালকের সহকারী লিটন পালিয়ে যান। নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় গত সোমবার সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ